জুমাবার মুসলীমদের কাছে শ্রেষ্ঠতম একটি দিন। মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদ হিসাবে ধরা হয় এই পবিত্র দিনকে।কোরআন ও হাদিসে এই দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার কথা বলা হয়েছে
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মাহমানব হযরত মুহাম্মদ (সা.) জুমার দিনের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন। তা হলোঃ
১)আল্লাহ তাআলা এদিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন।
২)আল্লাহ তাআলা এই দিনে আদম (আ.)-কে জমিনে অবতরণ করিয়েছেন।
৩)এই দিনে আদম (আ.)-কে মৃত্যু দিয়েছেন।
৪)এই দিনে এমন সময় আছে যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা কিছুই প্রার্থনা করবে তিনি তা দেবেন।
যতক্ষণ না সে হারাম কিছু প্রার্থনা করবে না।
৫)এই দিনে কিয়ামত সংঘটিত হবে। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৮৯৫)
জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য:
মহান আল্লাহতালার কাছে জুমাবারের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে।এ সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা আগের জাতিদের কাছে জুমার মর্যাদা অজ্ঞাত রাখেন। তাই ইহুদিরা শনিবার নির্ধারণ করে। আর খ্রিস্টানরা রবিবার নির্ধারণ করে। অতঃপর আমরা আসি। আমাদের তিনি জুমার দিনের মর্যাদা প্রকাশ করেন। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৮৫৬)।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ভালো করে গোসল করল, দ্রুততর সময়ে মসজিদে গেল ও (ইমামের) কাছাকাছি বসে মনোযোগ দিয়ে (খুতবা) শুনল, তাঁর জন্য প্রতি কদমের বদলে এক বছরের রোজা ও নামাজের সওয়াব থাকবে। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)।
জুমার দিনের বিশেষ আমল:
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, অতঃপর প্রথমে মসজিদে গেল সে যেন একটি উট কোরবানি করল। যে এরপর মসজিদে গেল সে যেন একটি গরু কোরবানি করল। আর যে এপর ঢুকল সে যেন ছাগল কোরবানি করল, এরপর যে ঢুকল সে যেন মুরগি কোরবানি করল, আর যে এরপর ঢুকল সে ডিম সদকা করল। অতঃপর ইমাম খুতবার জন্য এলে ফেরেশতারা আলোচনা শোনা শুরু করে। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮৪১)।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, সাধ্যমতো পবিত্র হলো, তেল ব্যবহার করল, ঘর থেকে সুগন্ধি ব্যবহার করল, অতঃপর মসজিদে এলো, সেখানে দুজন মুসল্লির মধ্যে ফাঁক করে সামনে এগিয়ে যায় না, নির্দিষ্ট পরিমাণ নামাজ পড়ল, অতঃপর ইমাম কথা শুরু করলে চুপ থাকল; তাহলে আল্লাহ তাআলা তাঁর দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ মাফ করবেন। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮৮৩)।
‘জুমার দিন কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে ভালো কিছুর দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তা দেন। তোমরা সময়টি আসরের পর অনুসন্ধান করো। ’ (আবু দাউদ, হাদিস নম্বর : ১০৪৮)।
আরও পড়ুন ,
বিদায় হজ্জের ভাষণ : বিশ্ববাসীর কাছে বিদায় হজ্জের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
মদিনা সনদ :বিশ্ব ইতিহাসে মদিনা সনদের গুরুত্ব

0 মন্তব্যসমূহ