কিডনি বিকল হওয়ার কারণ

কিডনি বিকল হওয়ার কারণ
কিডনি
মানব শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীরের অতিরিক্ত তরল নিঃসরণ করে ফেলে।গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটি কিছু সাধারণ ভুলেও বিকল হয়ে যেতে পারে।

যেসব কারণ বিকল হয়ে যেতে পারে কিডনি:

অথবা কিডনির ক্ষতি হয় যে কারণে:


অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ আমাদের পুরো শরীরের জন্যই ক্ষতিকর। আর উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত হওয়ার কারণে আপনার কিডনির দিকে পরিচালিত রক্তনালিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।


প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খাওয়া
বেশিরভাগ প্রক্রিয়াজাত খাবারেই সোডিয়াম থাকে অনেক বেশি। আর এগুলো হার্টের সমস্যা সৃষ্টি করার পাশাপাশি কিড়নিরও অনেক ক্ষতি করে থাকে। শরীরে বেশি পরিমাণে সোডিয়াম গেলে প্রস্রাবের সঙ্গে বেশি ক্যালসিয়াম বের হয়। আর এর ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

সর্দি-কাশিকে পাত্তা না দেওয়া
সাধারণ সর্দি-কাশিকে পাত্তা না দেওয়া আমাদের অনেকেরই অভ্যাস। কিন্তু এই সর্দি-কাশিই কিডনির জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। এ ছাড়া নানা গবেষণায় দেখা গেছে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন এমন অনেকেরই অসুস্থতার সময়ে ঠিকমতো বিশ্রাম না নেওয়ার ইতিহাস আছে।

বেশি ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া
এটি আমাদের অনেকেরই জানা যে, ব্যথানাশক ওষুধ শরীরের ক্ষতি করে থাকে। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না যে এটি আপনার কিড়নিকে নষ্ট করে দেওয়ার মতো ক্ষতি করতে পারে। এই ওষুধ এনএসএআইডি নামক প্রদাহবিরোধী, যার মধ্যে রয়েছে আইবুপ্রোফেন ও অ্যাসপিরিন। আর এগুলো কিডনিতে রক্তপ্রবাহ হ্রাস করে এবং দাগ সৃষ্টি করে সরাসরি অঙ্গের জন্য বিষাক্ত হিসেবে কাজ করতে পারে।

ক্যাফেইন আসক্তি
তৃষ্ণা পেলে আমরা অনেক সময় পানি পান না করে নানা ধরনের কোমল পানীয় পান করি। কিন্তু এসব পানীয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন মেশানো থাকে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। অতিরিক্ত রক্তচাপ কিডনির ওপরও চাপ প্রয়োগ করে এবং এতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়

তৃষ্ণার্ত অবস্থায় পানি পান না করা
আপনার কিডনিকে ভালো রাখতে হলে সারা দিনে আট গ্লাস পানি পান করতে হবে।  তৃষ্ণার্ত থাকার পরও যদি আপনি পানি পান না করেন, তা হলে আপনার শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে রক্তচাপ কমে যেতে পারে এবং কিড়নিতে রক্তপ্রবাহ কমে যেতে পারে। ফলে হতে পারে আপনার কিডনির মারাত্মক ক্ষতি

বেশি সাপলিমেন্ট খাওয়া
বিভিন্ন সাপলিমেন্টে কিছু ভিটামিন থাকে, যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে কাজ করতে পারে। আর সাপলিমেন্টে থাকা অ্যারিস্টোলোকিক অ্যাসিড নামক উদ্ভিদভিত্তিক উপাদানটি কিডনিতে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে।

রাত জেগে থাকা
রাত জেগে থাকা, ঘুমাতে না পারা আমাদের অনেকেরই নিয়মিত সমস্যা। কিন্তু ঘুম শরীরের জন্য নানা কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের সময়ই শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর টিস্যুর নবায়ন ঘটে। ফলে ঘুমাতে না পারার সমস্যাটা নিয়মিত চলতে থাকলে কিডনিসহ শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর এই কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে কিডনির স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা কমে যায়।

অতিরিক্ত ওজন
অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে সেটি আপনার টাইপ-২ ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে। আর এর কারণে আপনার কিড়নি রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। কারণ টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ইনসুলিনের সমস্যা কিডনিতে প্রদাহ ও ক্ষত সৃষ্টি করে


এ বিষয়ে আরও পড়ুন 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ