বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বর হলেই হাসপাতালে ছুটার দরকার নেই।করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই লক্ষণ দেখা দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে লক্ষণ প্রকাশ পায় ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে। করোনা খুবই সংক্রামক একটি ভাইরাস জনিত রোগ।এতে একজন থেকে অন্যজন, এমনকি হাসপাতালের অন্য রোগীরাও আক্রান্ত হতে পারেন।ফলে রোগীকে এ সময় সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। যেন অন্যদের মাঝে এই রোগ না ছড়ায়।
আরও পড়ুন: অটিজম : কারণ লক্ষণ ও চিকিৎসা
তাহলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে করণীয় কী?
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) বলছে, করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখলে যা মেনে চলবেন:
-ঘরে থাকতে হবে। চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না।
-চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে হবে।
শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে সমস্যা হলে হাসপাতালে যেতে হবে।
-আলাদা একটি ঘরে থাকতে হবে। বাথরুমও আলাদা হতে হবে।
--প্রচুর পানি ও ফলমূল খেতে হবে।
-কারও সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হলে মাস্ক পরতে হবে।
-আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দুই দিন কোনো লক্ষণ থাকে না। তাই কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হলেও বোঝা যায় না। এই দুই দিনে যাদের সঙ্গে মিশেছেন তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: স্তন ক্যান্সার : কারণ ও প্রতিকার
করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে যেসব সতর্কতা নিবেন
-হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে।
-শ্বাসকষ্ট হলে মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই।
-দুই বছরের কম বয়সী বাচ্চাকে মাস্ক পরানো যাবে না।
-যে তাকে খাবার দেবে বা তার ঘরে যাবে, তাকেও মাস্ক ও গ্লাভস পরতে হবে।
-প্লেট, গ্লাস, কাপ, তোয়ালে আলাদা করতে হবে।
-প্রতিবার ব্যবহারের পর রোগীকে এগুলো ধুয়ে ফেলতে হবে।
করোনায় আক্রান্ত হলে কতদিন পর টিকা নেওয়া যাবে?
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর টিকা নেওয়া প্রয়োজন কিনা এ নিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করে একটি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ পরবর্তী পরীক্ষা নেগেটিভ হওয়ার ২৮ দিন পর টিকা গ্রহণ করতে পারবেন আক্রান্ত ব্যক্তি।এক্ষেত্রে প্রথম ডোজ নেওয়ার পরেও যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের জন্যও একই নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

0 মন্তব্যসমূহ