গর্ভাবস্থায় প্রতি মায়েদের অনেক সাবধানে থেকে প্রতিটা পদক্ষেপ খুব ভাবনা-চিন্তা করে চলতে হয়। এই সময় মায়েদের বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তনও দেখা দেয়।তাই গর্ভবতী মায়েদের অধিক শতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় যে কাজ গুলো করবেন না / গর্ভাবস্থায় যে সতর্কতা অবলম্বন করবেন :
ভ্রমণ সতর্কতা
গর্ভকালীন সময়ে প্রথম তিন মাস ও শেষ তিন মাস দীর্ঘ ভ্রমণে না যাওয়াই ভালো। উঁচু-নিচু পথ কিংবা ঝাঁকির আশঙ্কা আছে এমন যানবাহনে ভ্রমণ করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। সকালে ও বিকেলে কিছু সময়ের জন্য স্বাস্থ্যকর ও মনোরম পরিবেশে ভ্রমণ গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভালো, এতে শরীর সুস্থ ও মন প্রফুল্ল থাকে। তাই ফুলের বাগান, লেকের পাড়, পার্ক- এসব স্থানে ভ্রমণ করা উচিত।
কঠিন ব্যায়াম করবেন না
ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। তবে এমন কোনও ব্যায়াম করবেন না, যার ফলে আপনার পেটে চাপ পড়ে। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস যোগব্যায়াম এড়ানো উচিত।
বেশি জোরে হাঁটবেন না
এই সময় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বা বেশি জোরে হাঁটা উচিত নয়। আপনি চাইলে ফাঁকা জায়গায় আস্তে আস্তে হাঁটতে পারেন। তবে রাস্তা বা ভিড় জায়গায় হাঁটা এড়িয়ে চলুন।
চুলার কাছে বেশিক্ষণ দাঁড়াবেন না
যদি আপনি বাড়িতে রান্না করেন, তবে চুলার কাছে খুব বেশি সময় কাটাবেন না। প্রায়ই নারীরা রান্নাঘরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে কাজ করেন, যা তাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। এর ফলে পায়ে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে।
কেমিক্যাল যুক্ত জিনিস ব্যবহার করবেন না
কোনও কিছু পরিষ্কার করার জন্য কেমিক্যাল যুক্ত জিনিসের পরিবর্তে প্রাকৃতিক পণ্য, যেমন - ভিনেগার বা বেকিং সোডা ব্যবহার করুন। তবে এগুলো ব্যবহার করার সময়ও সর্বদা গ্লাভস পরুন এবং আপনার মুখটি ঢেকে রাখুন। গর্ভাবস্থায় কেমিক্যাল যুক্ত ক্লিনিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করা একেবারেই ঠিক নয়।
পোষা প্রাণী কাছে যাবেন না
পোষা প্রাণী, বিশেষত বিড়াল থাকলে, তাদের মল-মূত্রের ট্রে গর্ভবতী মহিলাদের পরিষ্কার করা উচিত না। বিড়ালের মল-মূত্রে টক্সোপ্লাজমা গোন্ডি নামে একটি পরজীবী থাকতে পারে যা মা এবং সন্তানের জন্য গুরুতরভাবে ক্ষতিকারক হতে পারে। যদিও আপনি আধসিদ্ধ মাংস বা বাগান থেকে, বিড়ালের মল-মূত্র থেকে এই ক্ষতিকারক সংক্রমণ পেতে পারেন।
সিঁড়ি ব্যবহার
গর্ভাবস্থায় সময় সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে বারণ করা হয়, কারণ এতে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
0 মন্তব্যসমূহ