নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায় না



নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায় না

একবিংশ শতাব্দীতে এসে মানুষ সারা পৃথিবীময় এতো ঘৃণা বিদ্দেশ আর ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার হিংস্র রূপ দেখবে তা কি কেউ কল্পনা করেছিলেন?

স্রেফ ধর্মীয় কারণে সংখ্যাগুরুরা দেশে দেশে মাইনোরটি ধর্মের অনুসারিদের নিচিহৃ করে দেওয়ার যে চেষ্টা তা শুধু এই গ্রহের আদম সন্তানের জীবন অনিরাপদ করেনি একেবারে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।

ভারতে পশ্চিম বঙ্গে ধর্মিয় দাঙ্গা ও স্থানীয় মুসলীমদের বিতাড়িত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজপি শীবসেনা যখন পশ্চিম বাংলা বিজয়ের পথে তখন ভারতে জড়ে প্রতিদিন কভিড১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন লক্ষাধিক মানুষ।আর শুধু অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন প্রতিদিন দুই সহস্রধিক লোক। ধর্মিয় বিষপাম্প হিন্দু জাতিয়তাবাদকে পুজি করে মুদি আমিত শাহ জুটি দিল্লির লাল কেল্লা দুর্গ দখলে নিলেও ভেঙ্গে খানখান করে দিয়েছেন ভারতের হাজার বছর ধরে চলা ধর্মীয় সহবস্থান সামজিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধ।যার ফলে ভারত এখন ভঙ্গুর অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উপর দাঁড়িয়ে আছে। যে ভারত সারা বিশ্বময় স্বাস্থ সেবার জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছিল সেই ভারত এখন স্বাস্থ খাতের নাজেহাল অবস্থা! ভারতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও গেরুয়া শীবসেনার ধর্মীয় নেতারা এর এজন্য দায়ী। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি কখনও কোন জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না ভারত তার সর্বশেষ প্রমাণ।


টিক একই ভাবে যারা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নির্যাতন, প্রতিবেশি বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের প্রতি ঘৃণা বিদ্দেশ ছড়িয়ে বাংলাদেশকে তালিবানি রাষ্ট্র বানানোর খোয়াব দেখছেন রাষ্ট যদি তার টুটি এখনি চেপে না ধরতে পাড়ে তা হলে বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে কেবল ঘুর অন্ধকার। 

এনাম হোসেন, সাংবাদিক ও সমাজকর্মি।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ