ইসলামিক ডেস্ক : হযরত মোহাম্মদ (স.) এর মুজেজার মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুজেজা হলো মিরাজ।ইসলাম ধর্মমতে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ৫১ বছর বয়সে মিরাজের ঘটনা ঘটে। আল্লাহ পৃথিবী থেকে রাসুল (সা.)-কে বিশেষ বাহনের (বোরাক) মাধ্যমে প্রথম আসমান থেকে একে একে সপ্তম আসমান, জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন করান। নবী করিম (সা.) মিরাজের রাতের এই ঘটনা স্মরণে ইবাদত বন্দেগিতে রাতটি পালন করেন মুসলমানরা।
কোরআন ও হাদিসের আলোকে শবে মিরাজের গুরুত্ব:
অথবা শবে মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য:
এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘তোমাকে আমরা চাক্ষুষভাবে যা দেখালাম, তা এই লোকদের জন্য একটি পরীক্ষার বস্তু বানিয়ে রেখেছি। ’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত: ৬০)
আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত অন্য হাদিসে এসেছে, ‘মিরাজের রাতে নবী (সা.)-এর ওপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছিল। অতঃপর কমাতে কমাতে পাঁচ ওয়াক্তে সীমাবদ্ধ করা হয়। অতঃপর ঘোষণা করা হয়, হে মুহাম্মাদ! আমার নিকট কথার কোনো অদল-বদল নেই। তোমার জন্য এই পাঁচ ওয়াক্তের মধ্যে পঞ্চাশ ওয়াক্তের সওয়াব রয়েছে। ’ (তিরমিজি, হাদিস নং: ২১৩)
আবু হুরাইরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘যে রাতে নবী (সা.)-কে মিরাজ ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সে রাতে তার কাছে মদ ও দুধের দুটি পাত্র আনা হয়। তখন তিনি উভয়টির দিকে তাকিয়ে দেখে দুধের বাটিটা তুলে নেন।এটি দেখে জিবরাইল (আ.) বললেন, ‘সেই আল্লাহর প্রশংসা, যিনি আপনাকে প্রকৃত দিকেই পথ দেখালেন। যদি আপনি মদের পাত্রটি ধারণ করতেন, তাহলে আপনার উম্মত পথভ্রষ্ট হয়ে যেত।’ (বুখারি, হাদিস নং: ৪৭০৯)
শবে মেরাজের নফল রোজা:
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মেরাজের রাতে নফল ইবাদত করো ও দিনে রোজা পালন করো। (সুনানে ইবনে মাজাহ)। এ ছাড়া প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামে বিজ-এর নফল রোজা তো রয়েছেই। যা আদি পিতা হজরত আদম (আ.) পালন করেছিলেন এবং আমাদের প্রিয় নবী (সা.)–ও পালন করতেন; যা মূলত সুন্নত। সুতরাং তিনটি রোজা রাখলেও শবে বরাতের রোজা এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। বিখ্যাত মুহাদ্দিস ফকিহ হাফিজ ইবনে রজব (রা.) বলেন, এদিনের রোজা আইয়ামে বিজ, অর্থাৎ চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজার অন্তর্ভুক্ত। (লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা ১৫১)।
আরও পড়ুন :

0 মন্তব্যসমূহ