আমরা সবাই একটি সুস্থ সুন্দর ও রোগমুক্ত জীবন চাই।আর এই সুস্থ থাকার সবচেয়ে প্রধান উপায় হল, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা। কোন কারণে ওজন বেড়ে গেলে শরীরে নানা রোগে বাসা বাঁধে।
তাই মানসিক শান্তি ও রোগ প্রতিরোধে আমাদের প্রত্যেককেরই উচিত বয়স ও উচ্চতা অনুসারে সঠিক ওজন বজায় রাখা।
আজ আমরা জানবো সঠিক ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখার উপায় অথবা ওজন কমানোর সঠিক নিয়ম অথবা ওজন নিয়ন্ত্রণে জেনে নিন
আরও পড়ুন.......ব্রণের কারণ ও ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়
সকালের নাস্তা
ওজন ধরে রাখতে চাইলে সকালের নাস্তা কখনও বাদ দেওয়া যাবে না। সকাল সাড়ে ৭-৮টার মধ্যেই সকালের নাস্তা সেরে নিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের নাস্তা বাদ দিলে পেশী ভাঙতে শুরু করে। আর সেসব স্থানে ফ্যাট জমতে থাকে।ফলে ওজন বাড়তে সময় লাগে না। মনে রাখবেন, সকালের নাস্তায় প্রোটিন, ফাইবার ও কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার রাখতে হবে। এতে বেশি উপকার পাবেন।
অধিক ক্যালোরি পরিহার
ক্যালোরি বুঝে খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। যেসব খাবারে ক্যালোরি বেশি সেগুলো বাদ দিন। ভাজাপোড়া ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়াও চলবে না।ফাইবার ও কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি করে খান। এতে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকবে। একইসঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে।
আরও পড়ুন.....তারুণ্য ধরে রাখার কিছু নিয়ম
খাবার তালিকায় বাদাম যোগ করা
খাবার তালিকায় বিশেষভাবে বাদাম যোগ করুন। বিস্কুটের পরিবর্তে বাদামের তুলনায় ভালো কোনো খাবার হতেই পারে না। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর চর্বির ক্ষেত্রেও বাদামের তুলনা হয় না। ক্ষুধা নিবারণের পাশাপাশি নাস্তা হিসেবেও এটি আদর্শ খাবার। বাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা পেশী গঠনে সাহায্য করে। এছাড়াও বাদাম আমাদের শরীরে নানা ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায়।
পানি পান
বেশ কিছু গবেষণার তথ্য মতে, শরীরে পানির ঘাটতি হলে ‘ওয়াটার রিটেনশন’ হয়। এতে ওজন বাড়তে পারে। তাই প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন।ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি অনেক উপকার মেলে এতে। বিশেষ করে রক্তে মিশে থাকা টক্সিক উপাদানগুলো বেরিয়ে যায়। তাই ছোট-বড় রোগব্যাধি ধারে কাছেও ঘেঁষে না।
ফল খেতে হবে
ফলের আঁশ আমাদের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে। ফল শরীর থেকে ক্ষতিকর চিনি অপসারণ এবং ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তবে জুস করে নয়, আস্ত ফল খেতে হবে।
চিনি জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন
চিনি জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন। এ ধরনের পানীয় অপ্রয়োজনীয়ভাবে শরীরে ক্যালরি যোগ করে এবং যেটা চর্বিতে পরিণত হয়ে স্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে গ্রিন টি, নারকেলের পানি ও মিষ্টি নয় এমন কোনো পানীয় পান করতে পারেন।
আরও পড়ুন:
অ্যালকোহল পরিত্যাগ করুন
অ্যালকোহল জাতীয় পানির লাগাম টানুন। কারণ এটা আপনাকে মুটিয়ে দেবে। অ্যালকোহলে ততটা ক্যালরি না থাকলেও খাবারের প্রক্রিয়ায় পড়ে এটি আপনার শরীরে ক্যালরির যোগান দিতে থাকে।
কার্বোহাইড্রেট মেপে খান
শরীরকে সচল রাখতে নিয়মিত ১০০ গ্রাম সিম্পল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। তাই অল্প করে ভাত বা রুটি খেতে পারেন।
অতিরিক্ত লবন খাওয়া বাদ দিন
লবণেরও লাগাম টানুন। অনেকে হয়তো জানেন না, লবণ কেবল চিনিই নয়, এটা ওজন বৃদ্ধির একটা বড় উপাদানও।
শরীরচর্চা
ওজন ধরে রাখতে চাইলে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। জিমে যেতে না পারলে অল্প হাঁটাহাঁটি, দড়িলাফ করুন, এতেও উপকার পাবেন। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ুন। এতে দ্রুত ওজন কমতে শুরু করবে।ওজন বাড়া নির্ভর করে মেটাবলিজম রেটের উপর। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, সপ্তাহে কমপক্ষে ২০০ মিনিট ব্যায়াম করলে মেটাবলিজ রেট অনেকটা বেড়ে যায়। ফলে ওজন কমতেও সময় লাগে না।
আরও পড়ুন:

0 মন্তব্যসমূহ