শাল দুধ কি ?
শিশু জন্মের কিছুক্ষন পর হলুদাভ ঘন, আঁঠালো যে দুধ বেরিয়ে আসে একেই শালদুধ বলা হয় । প্রথম ১২ ঘন্টার ভিতরের দুধ কে Transitional Milk এর পরের তিন দিনের ভিতরের দুধ কে Mature Milk এবং সব মিলিয়ে মায়ের বুকের ১-১২ দিনের দুধ কেই শাল দুধ বলা হয় ।মনে রাখবেন সাধারণত প্রথম তিন দিনের শাল দুধ শিশুর জন্য খুবই মূল্যবান ,যদিও ইহা পরিমাণে খুব কম কিন্তু ইহাই একটি শিশুর জন্য যথেষ্ট ,কোন অবস্থাতেই এই দুধ পেলে দেওয়া যাবে না। শিশু বুকের দুধ টানার সাথে সাথে প্রলোক্টেনের মাধ্যমে খুবই দ্রুত মায়ের স্থনে প্রচুর দুধ আসতে থাকবে শিশু যতই বুকের দুধ টানতে থাকবে তথই মায়েদের বুকের দুধ বাড়তে থাকবেই পর্যায় ক্রমে ১২ দিন পর্যন্ত এই শাল দুধ পরে নর্মাল দুধে পরিণত হবে।
আরও পড়ুন : গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা
শাল দুধের উপকারিতা:
-জন্মের পর পরই শিশুকে মায়ের বুকের শাল দুধ খেতে দিলে সে দুধ চুষে খেতে শেখে এবং এতে মায়ের দুধও তাড়াতাড়ি নামে।
-শালদুধ শিশুর জন্য উপকারি যে যা শিশুর জীবনের প্রথম টিকা হিসাবে গন্য করা হয়।
-শাল দুধে খুব বেশি এন্টিবডি তাকে , ইহা অধিক পুষ্টিকর এবং অন্যান্য ভিটামিনের সাথে প্রচুর ভিটামিন 'এ' থাকে।
-শাল দুধ শিশুর প্রথম কালো পায়খানা বের হতে সাহায্য করে।
-শাল দুধ শিশুকে বিভিন্ন ধরনের অসুখ যেমনঃ ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সেপসিস ও অন্যান্য সংক্রমণ থেকে শিশুকে রক্ষা করে।
-শাল দুধ পান করালে শিশুর জন্ডিস হবার সম্ভাবনা কমে যায়।
-শালদুধ শিশুর পেট পরিষ্কার করে এবং নিয়মিত পায়খানা হতে সাহায্য করে।
-শালদুধ আমিষ সমৃদ্ধ এবং এতে প্রচুর ভিটামিন-এ আছে যা শিশুর রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
-বুকের দুধ দেয়ার সময় শিশু মায়ের শরীরের সাথে লেগে থাকার কারণে মায়ের উষ্ণতা পায় যা শিশুর জন্য ওই সময়ে খুব প্রয়োজন।
-শালদুধ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়।
-শাল দুধ পান করার মাধ্যমে মা শিশুর আত্মিক বন্ধন দৃঢ় হয়।
আরও পড়ুন :

0 মন্তব্যসমূহ