দাউদ এর কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা -Health-

দাউদ এর কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

স্বাস্থ্য প্রতিবেদক : দাউদ ত্বকের ছত্রাক জনিত চর্মরোগ একটি রোগ। সাধারণত শরীরের এক জায়গায় গোল চাকতির মত ফুসকুড়ি উঠে চুলকানি হয়। আর একেই দাউদ বলে।শরির এটি দ্বারা আক্রান্ত হলে প্রচণ্ড চুলকায়। 

দাউদ এর কারণ:

-অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা, আটসাট অন্তর্বাস ব্যবহার করলে, অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করলে এবং সংক্রামক ব্যক্তির কাপড়, গামছা ব্যবহার করলে দাদ হতে পারে।

-ছত্রাকের কারণে দাদ হয়ে থাকে। সাধারণত ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে জায়গা এবং ভালোভাবে আলোবাতাস পায় না এধরণের জায়গায় ছত্রাকের জন্ম হয়।

দাউদ এর লক্ষণ : 

দাউদ হলে প্রথমে আক্রান্ত স্থানে ছোট লাল গোটা হয় এবং সামান্য চুলকায়। পরে আক্রান্ত স্থানে বাদামী বর্ণের আইশ হয় এবং স্থানটি বৃত্তাকারে বড় হতে থাকে। এটি দেখতে অনেকটা চাকার মতো যার কিনারাগুলো সামান্য উঁচু হয়।যতই দিন যায় চাকার পরিধি বাড়তে থাকে আর কেন্দ্রের দিকে বা ভেতরের দিকে ভালো হয়ে যেতে থাকে। ক্ষত স্থান থেকে খুশকির মত চামড়া ওঠে। কখনো কখনো পানি ভর্তি দানা ও পুঁজ ভর্তি দানা হয়। ক্ষত স্থান অত্যন্ত চুলকায়। মাথায় দাউদ হলে আক্রান্ত স্থানের চুল পড়ে যায়। কোমরে বা কুঁচকিতে হলে চামড়া সাদা ও পুরু হয়ে যায়। নখে হলে অস্বচ্ছ ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। দাউদ চুলকালে সেখানে জ্বালা হয় ও কষ পড়তে থাকে।

দাউদ এর চিকিৎসা :

দাউদে আক্রান্ত হলে এই সমস্যা সমাধানে জন্য বিশেষজ্ঞরা অ্যান্টি ফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেন। কিন্তু ঘরোয়া উপায়েও দাউদ সারানোর পরামর্শ দিয়ে তাকেন তারা। 

আরও পড়ুনঃ

দাউদ সারানোর উপায় :

-ছত্রাকের সংক্রমণ ঠেকাতে অ্যালোভেরা খুবই উপকারী অ্যালোভেরায় রেজিন থাকে। তা দাদের চুলকানি, যন্ত্রণা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এজন্য অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল বের করে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন।

-মধুতে থাকা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও ছত্রাক-নাশক উপাদান ছত্রাকের বৃদ্ধি ঠেকায়। এজন্য একটি তুলায় মধু লাগিয়ে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে দাদ থেকে মুক্তি পাবেন।

-রসুন ছত্রাকের ইনফেকশন দূর করতে পারে। এজন্য ১-২ কোয়া রসুন ভালো করে থেঁতলে নিন। এর সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ মধু ও ৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে দাদে লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক রেখে দিন। তারপর গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

-পরিষ্কার এবং শুষ্ক কাপড় (বিশেষত সূতির কাপড়) এবং অন্তর্বাস পড়বেন।আপনার ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিস-পত্র অন্যদের ব্যবহার করতে দেবেন না।

-কাঁচা হলুদের রস আক্রান্ত স্থানে লাগালে দাদের সমস্যা দ্রুত সেরে ওঠে। হলুদের শক্তিশালী অ্যান্টি সেপটিক ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান দাদের সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

-তুলসি পাতায় থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান দাদের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করে। তুলসি পাতা চুলকানি ও র্যাশ দূর করে।

-জায়ফলে থাকে অ্যান্টি সেপটিক ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা দাদ সারায়। এজন্য এর গুঁড়া সামান্য পানিতে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট দাদের উপর লাগান। দেখবেন দাদ সেরে যাবে।

আরও পড়ুনঃ 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ