কৃমি হওয়ার কারণ ; কৃমি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় -Health-

কৃমি হওয়ার কারণ ; কৃমি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়

স্বাস্থ্য প্রতিবেদক : কৃমি কি? কৃমি মানবদেহের সব থেকে ক্ষতিকর একটি পরজীবী।এটি মানবদেহ থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য গ্রহণ করে এবং বংশবৃদ্ধি করে।

কৃমির প্রকারভেদ :
সাধারণত চার প্রকার কৃমি মানবদেহে বসবাস করে ।

১। গােলকৃমি ( Round worm )
২। সুতাকৃমি ( Thread worm )
৩। ফিতাকৃমি ( Tape worm ) 
৪। কাস্তের আকার বিশিষ্ট কৃমি ( Hook worm )

কৃমি হওয়ার কারণ :
-অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহার
-অপরিষ্কার ঘরবাড়ি
-টয়লেট-এর পর হাত ভালোভাবে না ধোয়া
-দূষিত পানি ব্যবহার
-অর্ধসেদ্ধ গরুর মাংস খেলে 
-খাবার ভালোভাবে না ধুয়ে রান্না করা
-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করা
-হাতের নখ বড় রাখলে

কৃমির লক্ষণ: কৃমির ক্ষতিকর প্রভাব 
-বমি বমি 
-ভাবপেট ব্যথা
-পেট মোটা
-খাবারে অরুচি
-মুখে থুথু ওঠা  
-পায়খানার রাস্তার পাশে চুলকানি
- অপুষ্টি দেখা দেয়
- রক্তশূন্যতা দেখা দেয়
- অনেক সময় বক্র কৃমির এক মুখ শিশুদের এপেনডিক্সের মধ্যে প্রবেশ করে।ফলে এপেনডিসাইটিসের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শিশুর নাক, মুখ দিয়েও কৃমি পড়তে পারে। 
- ডায়রিয়া
-রক্তশূন্যতা
-ওজন কমে যাওয়া।
- পেটে কৃমির আধিক্যে অন্ত্রনালীর পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া অন্ত্র ফুটো করে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে।

কৃমি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় : 

আনারস
আনারসের ব্রোমেলিন এনজাইম শরীরে বাসা বাঁধা প্যারাসাইট বা পরজীবী মারতে সাহায্য করে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, পর পর তিন-চার দিন শুধু আনারস খেয়ে থাকতে পারলে কৃমির সমস্যা সম্পূর্ণ সারানো সম্ভব।

লবঙ্গ
কৃমির সমস্যায় রোজ ২টি করে লবঙ্গ খান। এর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল (অণুজীব নাশক) উপাদান কৃমি মেরে ফেলে।

রসুন
কাঁচা রসুনে প্রায় ২০ ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ৬০ ধরনের ফাংগাস মেরে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, রসুন একটি অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক (পরজীবী নাশক) খাবার যা কৃমি দূর করতে সাহায্য করে। কাঁচা রসুনে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড পেটের কৃমি মেরে ফেলে। তাই রোজ সকালে খালি পেটে ২ কোয়া রসুন খেতে পারলে উপকার পাবেন।

শশার বীজ
কৃমির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে শশার বীজ অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। শশার বীজ শুকিয়ে, গুঁড়া করে রোজ ১ চামচ করে খেতে পারলে দ্রুত উপকার পাবেন।

মিষ্টি কুমড়ার বীজ
দুই চামচ মিষ্টি কুমড়ার বীজের গুঁড়া ৩ কাপ পানি দিয়ে আধ ঘণ্টা সিদ্ধ করুন। ওই পানি সকালে খালি পেটে এক সপ্তাহ খান। উপকার পাবেন। এ ছাড়া ১ চামচ মিষ্টি কুমড়ার বীজের গুঁড়ার সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। কৃমির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন।

হলুদ
কাঁচা হলুদ অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। কৃমির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে এটি খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। আধা কাপ উষ্ণ পানিতে সামান্য হলুদ গুঁড়া এবং লবণ মিশিয়ে খান। এই মিশ্রণ ৫ দিন পর পর খেতে পারলে দ্রুত উপকার পাবেন।

গাজর
কৃমির সমস্যা দূর করতে রোজ সকালে খালি পেটে একটি করে গাজর খান। গাজরে থাকা ভিটামিন এ, সি, বিটা ক্যারোটিন এবং জিঙ্ক শরীরে কৃমি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

অ্যাপল সিডার ভিনিগার
খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে অ্যাপল সিডার ভিনিগার খেতে পারলে তা পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। ওই অ্যাসিডে শরীরে প্যারাসাইট (পরজীবী) ও ক্ষতিকর জীবাণুর লার্ভা মারতে সাহায্য করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ