ভ্যাক্সিন কী?ভ্যাক্সিন বলতে কি বুঝেন? টিকা কি? ভাইরাস কী ? - Health -

 

ভ্যাক্সিন কী?ভ্যাক্সিন বলতে কি বুঝেন? / টিকা কি?

ভ্যাক্সিন কী?ভ্যাক্সিন বলতে কি বুঝেন? / টিকা কি? 

ভ্যাক্সিনের কাজ হলো কোনো জীবাণুকে পরাস্ত করার জন্য আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার হাতে সঠিক অস্ত্র তুলে দেওয়া। ভ্যাক্সিন মূলত শরীরের জন্য একটি প্রশিক্ষণমূলক ব্যাপার। এটি শরীরকে রোগ-জীবাণুর মুখোমুখি দাঁড় না করিয়েই তাদের সাথে লড়াই করার পদ্ধতি শেখায়। কোনো রোগের ভ্যাক্সিন তৈরি করা হয় সেই রোগেরই জীবাণু দ্বারা। তবে জীবাণুটি হয় মৃত বা দুর্বল, অর্থাৎ রোগ সৃষ্টি করতে অক্ষম। এই জীবাণুগুলো শরীরে প্রবেশ করার সাথে সাথে তৎপর হয়ে ওঠে শরীরের অতন্দ্র প্রহরী ‘শ্বেত রক্ত কণিকা’। শ্বেত রক্ত কণিকায় রয়েছে ম্যাক্রোফেইজ, বি লিম্ফোসাইট বা বি-সেল, আর টি লিম্ফোসাইট বা টি-সেল।

ম্যাক্রোফেইজের কাজ হলো জীবাণুগুলোকে ধরে গিলে ফেলা। এরপরে জীবাণুদের অংশবিশেষ অ্যান্টিজেনগুলো রক্তে রয়ে যায়। এসব অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অ্যান্টিবডি তৈরি করে বি-লিম্ফোসাইট, যা অ্যান্টিজেনগুলোকে আক্রমণ করে। টি-লিম্ফোসাইট বা টি-সেলগুলো শ্বেত রক্তকণিকার স্মৃতিভান্ডার হিসেবে কাজ করে। এরা পরবর্তীতে একই জীবাণুর সম্মুখীন হলে স্মৃতি ব্যবহার করে সেটিকে ধ্বংস করার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি তৈরি করতে নেমে যায়।

সৌজন্যে : রোর মিডিয়া

ভাইরাস কী ?  / ভাইরাস :


ভাইরাস হলো বাধ্যতামূলক অন্তঃকোষীয় পরজীবী, যা অন্য কোনো জীবিত কোষ ছাড়া বংশবিস্তার করতে এবং বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে না। ভাইরাসের জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল ডিএনএ অথবা আরএনএ দ্বারা তৈরি। পৃথিবীতে যত ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণী আছে, তাদের সবার শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

পৃথিবীতে কী পরিমাণ ভাইরাস আছে?পৃথিবীতে কী পরিমাণ ভাইরাস আছে, তা এক কথায় গণনার বাইরে। একটি ছোট ক্যালকুুলেশনের মাধ্যমে পৃথিবীতে কী পরিমাণ ভাইরাস আছে, তার একটি ধারণা পাওয়া যেতে পারে। সমুদ্রের পানিতে ব্যাকটেরিওফাজ নামে যে ভাইরাসটি ব্যাকটেরিয়াকে ইনফেক্ট করে, তা যে পরিমাণ আছে, এটি টোটাল করলে পৃথিবীতে যত পরিমাণ হাতি আছে, তার এক হাজার গুণের সমান হবে। আর এ ভাইরাসগুলোকে যদি লম্বালম্বি করে সংযুক্ত করা হয় তাহলে ১০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষের সমান লম্বা হবে। ভাইরাস হলো খুবই ক্ষুদ্র অণুজীব। বলা যায় ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র। এক লিটার সামুদ্রিক পানিতে যে পরিমাণ ভাইরাস আছে, তা পৃথিবীর পুরো জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। ছোট একটি আলপিনের মাথায় ৫০০ মিলিয়ন ছোট আকারের ভাইরাস থাকতে পারে। সমুদ্রের মধ্যে যত কণা আছে, তার মধ্যে ৯৪ শতাংশ হলো ভাইরাস

তথ্যসূত্র: বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র, ভাইরোলজি বই ও প্রতিষ্ঠিত ভাইরোলজিস্টদের লেকচার)।

আরও পড়ুনঃ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ