।।ঈদ মুবারাক।।
তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।
আল্লাহর জন্য কুরবানি দাতা প্রিয় মুসলিম ভাই! কুরবানির সাথে দুটি বিষয়ে খেয়াল রাখবেন-
কুরবানি পরবর্তী পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদাত! আমাদের পশু কুরবানির পরবর্তী আচরণ যেনো মানব সূলভ হয়, পশুর মত নয়! পরিবেশ ও সাস্থ্য সচেতনতা ইসলামে অনেক গুরুত্বপূর্ণ! প্রিয়নবী (সা.) বলেন, তোমরা তোমাদের উঠান ও আঙিনা পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি করে রাখো।
হযরত আবু মালেক আশয়ারি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অর্ধেক।’ (মুসলিম, হাদিস : ২২৩)
সুতরাং রক্ত পুতে ফেলা, আবর্জনা নির্ধারিত স্থানে ফেলা, যত্রতত্র যবেহ না করা, কুরবানির ময়লা আবর্জনা ইত্যাদি দিয়ে কেউ যেনো কষ্ট না পান এ বিষয়ে একজন মুসলিম হিসেবে দায়িত্বশীল হতে হবে। এ দায়িত্ব কেবল সিটি কর্পোরেশন আর পৌরসভার নয়! আমাদের প্রত্যেকের। এটাই ইসলামের শিক্ষা।
একই সাথে সুস্থ থাকতে সাস্থ্য সচেতনতাও আমাদের জরুরী! অতিভোজন, বেহিসেবি গোস্ত খাওয়া, কুরবানির গোস্ত খান আল্লাহর নামে কিচ্ছু হবেনা! এই বলে অতিরিক্ত খাওয়া উচিৎ নয়! ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ সহ যে সকল রোগে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রিত তা মানা উচিৎ। রাসূল সা. বলেছেন - দূর্বল মুমিনের চেয়ে শক্তিশালী ( সুঠাম ও সুস্থ) মুমিন আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়!
কভিডের এই কঠিন সময়ে আশপাশের সবার মাঝে যেনো কুরবানির আনন্দ পৌছায়, কি বুঝিয়েছি আশাকরি অগ্রিম চিন্তা করেই রেখেছেন।
অনেক পরিবারে করোনার এই সময়ে এমন শোক এনে দিয়েছে, যা তারাই কেবল অনুভব করছেন! আল্লাহ সবাইকে সবর ও উত্তম বিনিময় দান করুন।
আল্লাহ আপনার ও আমাদের যাবতীয় নেক কাজগুলি কবুল করে নিন।।

0 মন্তব্যসমূহ