মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উপায়

মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উপায় / দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়

মানসিক চাপ হলে মস্তিষ্কের নানা ধরনের রোগের বসাবাধে। বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা থেকে জানা যায়, মানসিক চাপ জীবনের স্বাভাবিক অনুভূতিগুলো (দুঃখবোধ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি) প্রকট আকার ধারণ করে৷ এ ক্ষেত্রে যেসব লক্ষণগুলো দেখা যায় তা হচ্ছে: অহেতুক মানসিক অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা-ভয়ভীতি, মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট, বুক ধরফর করা, একই চিন্তা বা কাজ বারবার করা (শুচিবাই), মানসিক অবসাদ, বিষন্নতা, অশান্তি, বিরক্তি, অসহায়বোধ, কাজে মন না বসা, স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, অনিদ্রা, ক্ষুধামন্দা, আত্মহত্যার করার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি৷

মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উপায় /

দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়


১. পরিমিত বিশুদ্ধ ও সুষম খাবার খেতে হবে (সাথে টক ফল যেমন লেবু, কমলা লেবু, জাম্বুরা, আমলকী, আমড়া, কামরাঙ্গা এবং গ্রীন টি অনেক উপকারী)।
২.শারীরিক ওজন বেশি হলে তা কমাতে হবে।
৩. পর্যাপ্ত অর্থাৎ দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
৪. অধিক রাত জাগা যাবে না। 
৫. রাতের খাবার আগেই গ্রহণ করতে হবে এবং রাত ৯টা - ৯ঃ৩০ এর মধ্যেই ঘুমিয়ে যেতে হবে। 
৬. খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
৭. দিনের বেলা ঘুমানো যাবে না।
৮. প্রত্যহ নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম অন্তত ১ ঘন্টা করতে হবে (যেটা মন ভালো রাখে, শরীরের ব্যথা বেদনা কমায়, ঘুমের কোয়ালিটি বাড়ায় এবং আত্মপ্রত্যয়ী করে তোলে)।
৯. যোগ ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে (যেটা উচ্চ রক্তচাপ কমায়, হৃৎস্পন্দন কমায়, মনের অস্থিরতা কমায়)
১১. গভীর শ্বাস প্রশ্বাস এর ব্যায়াম করা।
১২. হৃদয় ছোঁয়া, কালজয়ী গান শোনা। 
১৩. দুশ্চিন্তা পরিহার করা
১৪. অ্যারোমা থেরাপি --- ভালো সুগন্ধি'র ব্যবহার।
১৫. চুইংগাম চিবানো। 
১৬. পরিবার পরিজন ও বন্ধু বান্ধব এর সাথে সময় কাটানো। 
১৭. ধূমপান ও অন্য কোনো বদঅভ্যাস থাকলে পরিহার করা।
১৮. চা, কফি, চকোলেট ও এনার্জি ড্রিংক পরিহার করা।
১৯. সর্বদা হাসি খুশি থাকা (কৌতুকরসবোধময় জীবন যাপন করা, হাস্যরসবোধময় বন্ধু বান্ধবের সাথে সময় কাটানো, কমেডি শো দেখা)
২০. সর্বদা পজিটিভ চিন্তা করা।
২১. সাধ্যাতীত কাজের চাপ বা দায়িত্ব না নেওয়া 
২২. কোন কাজটি আগে করতে হবে সেটি ঠিক করেই কাজ ধরতে হবে । 
২৩. যেসব খাবার খেলে পেটের সমস্যা বেড়ে যায় তা পরিহার করা।
২৪.নিম্নোক্ত খাবার খেলে মানসিক চাপ কমে:
সামুদ্রিক মাছ ও তেল সমৃদ্ধ মাছ  (ইলিশ মাছ, স্যালমন মাছ),হলুদ, কালো চকোলেট, লাচ্ছি, ঘোল, মাঠা,গ্রীন টি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ