আমাদের বৃহদন্ত্র নলের মতো ফাঁপা। বৃহদন্ত্রের তিনটি অংশের মধ্যে প্রথম অংশ হচ্ছে সিকাম। এই সিকামের সাথে ছোট একটি আঙুলের মত দেখতে এই এপেনডিক্স। যদি কোন কারণে এর মধ্যে খাদ্য, মল বা কৃমি ঢুকে যায়, তাহলে এর মধ্যে রক্ত ও পুষ্টির অভাব দেখা দেয়।এবং নানান জীবাণুর আক্রমণে এপেনডিক্সের ঐ অংশে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিলে তাকে এপেনডিসাইটিস (Appendicitis) বলে।
এপেনডিসাইটিস এর লক্ষণ :
-পেটে ব্যথা হয়। সাধারণত নাভির কাছ থেকে শুরু হয়ে পেটের ডান দিকের নিচের দিকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে।
-বমি বমি ভাব।
-বমি হওয়া।
-কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া।
-ক্ষুধামন্দা।
-জ্বর থাকতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি হয় না।
-অ্যাপেন্ডিক্স কোনো কারণে ফেটে গেলে সারা পেটজুড়ে সাংঘাতিক ব্যথা অনুভূত হয় এবং পেট ফুলে ওঠে।
আরও পড়ুন : শাল দুধ কি ? শাল দুধের উপকারিতা
এপেনডিসাইটিস এর কারণে মানবদেহে যেসব ক্ষতি হয় :
১)গ্যাংগ্রিন বা পঁচন ধরা।
২)অন্ত্র ছিদ্র হয়ে যাওয়া।
৩)পেরিটোনাইটিস।
৪)এপেনডিকুলার লাম্প।
৫)মৃত্যু।
এপেনডিসাইটিস এর চিকিৎসাঃ
এপেনডিসাইটিস হলে দেরী না করে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ অপারেশনই এই রোগের একমাত্র চিকিৎসা। কোনো ওষুধে বা অ্যান্টিবায়োটিকে এ রোগ সারে না। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের সমস্যা দেখা দিলে অপারেশন ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই করতে হয়। না হলে অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে।মনে রাখা ভালো সার্জারিতে যেহেতু এপেনডিক্স কেটে ফেলে দেয়া হয়, তাই পুনরায় এপেনডিসাইটিস হবার কোন সম্ভাবনা নেই।

0 মন্তব্যসমূহ