ইসলামিক ডেস্কঃ রমজানের রোজা পালনের জন্য সেহরি খাওয়া আবশ্যক। নবী করিম (সা.) সেহরি গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন। আবার যথাসময়ে ইফতার গ্রহণেরও তাগিদ প্রদান করেছেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমাদের রোজা এবং ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদের রোজার মধ্যে পার্থক্য হলো সেহরি খাওয়া। অর্থাৎ মুসলিমরা সেহরি খায় আর ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানরা সেহরি খায় না। ’ (মুসলিম ও নাসাঈ)
রোজা পালনে সেহরির যেমন গুরুত্ব রয়েছে তেমনি রোজা রাখার নিয়ত এ যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। সেহরি খাওয়ার পর রোজার নিয়ত করা জরুরি।
আরও পড়ুনঃ
রোজা রাখার নিয়ত (আরবি উচ্চারণ):
নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আনতাস সামীউল আলীম।
অর্থ- হে আল্লাহ! আগামীকাল পবিত্র রমযান মাসে তোমার পক্ষ হতে ফরজ করা রোজা রাখার নিয়ত করলাম, অতএব তুমি আমার পক্ষ হতে তা কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
রোজার রাখার নিয়ত (বাংলা উচ্চারণ)
হে আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফের ফরজ রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাত।
আল্লাহতালা পবিত্র কোরআন মাজিদে বলেন, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে, তারা যেন এই মাসে রোজা পালন করে।’ ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য রোজার বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৫ ও ১৮৩)।
আরও পড়ুনঃ

0 মন্তব্যসমূহ