মায়ের দুধে শিশুর যত উপকার

মায়ের দুধে শিশুর যত উপকার asianjournal

বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশুরা বুকের দুধ খায় তারা বিশেষ করে পেটের সমস্যা, অ্যালার্জি এবং কানে সংক্রমণের মতো সমস্যায় কম পড়ে।শিশু জন্মের প্রথম ছয় মাস শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবেপ্রথম ৬ মাস মায়ের বুকের দুধ ছাড়া শিশুকে অন্যকিছু খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই। এ সময়ে মায়ের দুধ শিশুর সব পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে।

মায়ের দুধ শিশুকে যেসব রোগ থেকে মুক্তি দেবে
অথবা মায়ের দুধে শিশুর যেসব উপকার হয়
অথবা কেন মাতৃদুগ্ধ জরুরি?
১)বুকের দুধ একটি আদর্শ খাবার, যাতে প্রয়োজনীয় শর্করা, আমিষ, চর্বি ও অন্যান্য খাদ্যোপাদান আছে।

2)তাড়াতাড়ি হজম হয় বলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় না।

৩)পাকস্থলী ও অন্ত্রের সমস্যা থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৪)মোটা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কারণ তারা খিদে অনুযায়ী খেতে শেখে।

৫)শিশুর নাক ও গলার ঝিল্লির ওপর আস্তরণ তৈরি করে, যা হাঁপানি ও কানের সংক্রমণ থেকেও শিশুকে রক্ষা করে।

৬)শৈশবে লিউকোমিয়া ও বড় বয়সে টাইপ-১ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার আশঙ্কা কমায়।

৭)এর ফ্যাটি এসিড শিশুর মগজের বৃদ্ধি ঘটাতে বা বুদ্ধি বাড়াতে সহায়তা করে।

 ৮) মায়ের দুধ শিশু মৃত্যুর হার কমায়

৯) মায়ের দুধ সহজে হজম হয়

৭) মায়ের দুধে পূর্ণমাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ থাকে বলে শিশুর রাতকানা হবার সম্ভাবনা থাকে না।

আরও পড়ুন :

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে মায়ের যেসব উপকার হয়
১) শিশুর জন্মের পর মায়ের রক্তক্ষরণ কম হয়।

২)মায়ের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়

৩) মায়ের দুধ প্রাকৃতিক, যেকোনো অবস্থায়, যেকোনো সময় মা খাওয়াতে পারেন। কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে না।

৪)বুকের দুধ খাওয়ালে প্রাকৃতিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণের কাজ করে।

৫)নতুন মায়েদের ওজন কমাতে দ্রুত কাজ করে।

৬)মায়ের জরায়ু ও স্তন ক্যানসার রোধ করে।

৭)জরায়ু আগের অবস্থানে ফিরে আসে।

৮)যত দিন খাওয়ানো যায়, তত স্তনে ও ডিম্বাশয়ে ক্যান্সারের আশঙ্কা কম থাকে।

৯) মা ও শিশুর মধ্যে সম্পর্ক গভীর হয়।

আরও পড়ুন :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ